থ্যাগোমাইজার by আহসান হাবীব - Storybd3

Latest

বিজ্ঞান চর্চা কেন্দ্র

মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২০

থ্যাগোমাইজার by আহসান হাবীব

থ্যাগোমাইজার

আহসান হাবীব

আমেরিকান কার্টুনিষ্ট গ্যারি লারসেন। খুবই বিখ্যাত কার্টুনিষ্ট। তাঁর কার্টুনের বিষয়বস্তু প্রায়ই হয় ডাইনোসর। যেমন তাঁর একটা কার্টুন মনে আছে, সেটা হচ্ছে এ রকম- পৃথিবী থেকে ডাইনোসর বিলুপ্ত হওয়ার কারণ হচ্ছে তারা শেষ বেলায় এসে নাকি মানুষের মতো বিড়ি-সিগারেট খাওয়া শুরু করেছিল। আইডিয়া হিসেবে বিষয়টা হয়তো অত মজার নয়, কিন্তু তাঁর আঁকার গুণে সেটা সব সময়ই অসাধারণ হয়ে ওঠে। বড় কার্টুনিষ্টরা যখন কার্টুন আঁকেন, তখন তাঁরা চরিত্রের বাইরেও এনভায়রনমেন্টটাকেও মজার করে তুলতে পারেন, যেটা গ্যারি লারসেন সব সময় করে থাকেন। তো ১৯৮২ সালে তিনি একটা কার্টুন আঁকলেন সেই ডাইনোসর নিয়েই। কার্টুনের বিষয়টা এ রকম যে ডাইনোসর তাঁর লেজের একটা অংশ দিয়ে আঘাত করে কাউকে মেরে ফেলতে পারে- সেটাই আদিম যুগের মানুষেরা বোর্ডে এঁকে ব্যাখ্যা করছে। এ ক্ষেত্রেও আইডিয়াটা সাদামাটা, কিন্তু আঁকার গুণে অসাধারণ ( এটাই তাঁর স্টাইল )। কিন্তু এ ক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রম হলো লেজের যে দাঁতালো অংশটা দিয়ে কাউকে আঘাত করার কথা বললেন, তিনি নিজেই সেটার একটা আলাদা নাম দিলেন। নামটা হচ্ছে 'থ্যাগোমাইজার' ! কিন্তু এবার একটু সমস্যা হলো, ডাইনোসর গবেষকেরা খেপলেন। তিনি একজন কার্টুনিষ্ট , ঠিক আছে। তিনি ডাইনোসর নিয়ে কার্টুন আঁকেন, সেটাও ঠিক আছে, কিন্তু ডাইনোসরের শরীরের কোনো অংশের নাম দেওয়ার তিনি কে? এর জন্য আলাদা গবেষকেরা রয়েছেনই ইত্যাদি ইত্যাদি ! কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে হঠাৎ ডাইনোসর গবেষকেরা আবিষ্কার করলেন যে, 'কী আশ্চর্য ! ডাইনোসরের শরীরের ওই অংশটার নাম দেওয়াই হয়নি ভুল করে !' তখন আর কী করা, ডাইনোসর গবেষকেরা মুখ চুন করে গ্যারি লারসনের থ্যাগোমাইজার নামটি গ্রহণ করে নিলেন। একবাচ্চা গেছে মিউজিয়ামে। বিশাল ডাইনোসরের কঙ্কালের সামনে দাঁড়িয়ে বাবাকে প্রশ্ন করল-- বাবা? বলো সব মিউজিয়ামে ডাইনোসরের কঙ্কাল দাঁড়িয়ে থাকে কেন? গম্ভীর প্রশ্ন! তো কোথায় দাঁড়িয়ে থাকা উচিত বলে তোমার মনে হচ্ছে? দাঁড়িয়ে থাকবে কেন? শুয়ে থাকবে কবরের ভেতর! বিচক্ষণ বাচ্চার উত্তর। আরেকটা ঘটনায় যাই। ডাইনোসর মারা গেছে। হাউমাউ করে কাঁদছে তাঁর কেয়ারটেকার। 'আহা আপনার খুব প্রিয় ছিল বোধ হয় ডাইনোসরটা তাই না? খুব কষ্ট হচ্ছে?' ঠিক সে জন্য কাঁদছি না তাহলে কাঁদছ কেন? এখন ওর জন্য আমাকেই কবর খুঁড়তে হবে যে! ইইই (কান্না) ! তো পাঠকগণ কেমন লাগল এই বিজ্ঞান রম্যটি নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন। আর আমার মনে হয় আপনাদের এই বিজ্ঞান রম্যটি ভালোই লেগেছে। তো আজকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি আর হ্যা সকলেই আমাদের এই ব্লগিং সাইট প্লাস আমাদের প্রশ্ন উত্তর সাইট myproshno.xyz নিয়মিত ভিজিট করুন আর প্রশ্ন উত্তর করে সর্বোচ্চ পয়েন্ট করে জিতে নিন পুরুষ্কার। তো দেখা হবে আরো একটি এরকম ভালো পোষ্ট ততক্ষণ পর্যন্ত সকলে ভালো ও সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন