বিজ্ঞান ও মৃত্যু! - Storybd3

Latest

বিজ্ঞান চর্চা কেন্দ্র

রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২০

বিজ্ঞান ও মৃত্যু!


বিজ্ঞান ও মৃত্যু!

আহসান হাবীব


এক স্কুলের বিজ্ঞান ক্লাসে স্যার প্রশ্ন করলেন, -চল্লিশ দশকের বিজ্ঞানীদের সম্পর্কে তোরা কে কী জানিস বল? 
 কেউ হাত তুলল না। স্যার খুবই বিরক্ত হলেন, কী আশ্চর্য, তােরা কেউ কিছু বলতে পারবি না? শেষ বেঞ্চ থেকে তখন একজন হাত তুলল। 
 -স্যার বলব? 
-বল। 
-স্যার,ওনারা কেউ আর জীবিত নেই।

 জীবিত না থাকলেও অনেক বিজ্ঞানীই কিন্তু মৃত্যু নিয়ে মজার মজার কথা বলে গেছেন। যেমন বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন বলেছেন, 'বেশির ভাগ মানুষ আসলে পঁচিশেই মরে যায়, কিন্তু তাকে কবর দেওয়া হয় পঁচাত্তরে!' আশা করি পাঠক, বুঝতে পারছেন তিনি কী বােঝাতে চেয়েছেন। যে অর্থে আইনস্টাইন বলেছিলেন, 'সব মানুষের ব্রেনের দরকার ছিল না, শুধু স্নায়ুতন্ত্র দিয়েই বেঁচে থাকতে পারত! আইনস্টাইনও মজার কথা বলেছেন মৃত্যু নিয়ে—সব ভয়ের মধ্যে মৃত্যু নিয়ে ভয়টা খুবই 'আনজাস্টিফাইড'। কারণ মৃত্যু এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে অন্তত কোনাে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা নেই! 

 বৈদ্যুতিক বাল্ব আবিষ্কারক টমাস আলভা এডিসন মারা গিয়েছিলেন দিনের বেলায়। মৃত্যুশয্যায় তিনি নাকি বলেছিলেন, এত আলাে কেন? জানালাগুলাে বন্ধ করাে...।' আরেক বিজ্ঞানী (টেসলা নয় কিন্তু) মৃত্যুশয্যায় বলেছিলেন উল্টো কথা। এত অন্ধকার কেন? দরজা-জানালা সব খুলে দাও। চল্লিশ দশকের এক বিজ্ঞানী মৃত্যু নিয়ে মজার একটা উক্তি করেছিলেন, 'মানুষ আসলে ক্ষুধা, রােগ, শােক বা শীতে মারা যায় না কখনাে, মানুষ মারা যায় সে বেঁচে ছিল বলে। সেই বিজ্ঞানী কথা রেখেছেন। তিনি মারা গেছেন, তিনি বেঁচে ছিলেন বলেই।

 মৃত্যু নিয়ে ল্যাম্পুন বা মরবিড-টাইপ জোকের অভাব নেই। একটা শােনা যেতে পারে। কোনাে এক দেশে অ্যাটম বােমা বিস্ফোরণের এক্সপেরিমেন্ট হতে যাচ্ছে। একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হলাে (তাকে অবশ্য বলা হয়নি যে এটা অ্যাটম বােমা)। বলা হলাে, 'তুমি এই যন্ত্রটার এই জায়গায় এই যে লাল বােতামটা দেখতে পাচ্ছ?'
 - পাচ্ছি। 
- ঠিক দশটা পঁচিশে এই লাল বােতামে চাপ দেবে। - আচ্ছা দিলাম। তারপর কী করব? 
- তারপর হামাগুড়ি দিয়ে এগােতে থাকবে।
- হামাগুড়ি দিয়ে কেন? 
- আহ, যা বলছি শােনাে...হামাগুড়ি দিয়ে এগােতে থাকবে। 
- কোন দিকে এগোব? 
-নিকটবর্তী কবরস্থানের দিকে। 

 সবশেষে সায়েন্স ফিকশন লেখক আইজাক আসিমভের একটা মিনিয়েষ্ট পসিবল ইন্টারভিউ--  - আচ্ছা আসিমভ, আপনি তাে সায়েন্স ফিকশন  লেখেন। 
- হ্যাঁ লিখি।
- আচ্ছা, আপনাকে যদি বলা হয় আর মাত্র আধা ঘণ্টা বাঁচবেন, তাহলে কী করবেন?
- মােটেই ঘাবড়াব না। যে সায়েন্স ফিকশনটা কম্পিউটারে টাইপ করছি....সেটার টাইপিং স্পিড বাড়িয়ে দেব।
              
                         সংগৃহীত : বিজ্ঞানচিন্তা ম্যাগাজিন


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন